ছেলে কী মেয়ে সন্তান নির্ভর করে শুক্রাণুর উপর


অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী সন্তানটি হবে ফুটফুটে একটি মেয়ে অথবা দুরন্ত একটি ছেলে। একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে।
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। নারীর শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।

·         বাসর রাত ! প্রথমবার শারীরিক মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
·         নাক ছাড়া জন্ম নিয়েছিল এই শিশু ! দয়া করে সবাই তার জন্য প্রার্থনা করুন
·         যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে খাদ্যতালিকায় ৫টি খাদ্য
·         গর্ভবতী হতে স্বামীর সাথে কখন মিলিত হবেন ? 

এই সময়ের মাঝে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেলো। এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যেতে পারে। জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। x ক্রোমোজোমধারি শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হবে, আর Y ক্রোমোজোমের কারণে সে হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
এই দুইটি বিষয় জেনে রাখার পর আসুন দেখি করনীয় কি। ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেঁচে থাকবে X শুক্রাণুগুলো। ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

যেসব খাবার ফুসফুস পরিষ্কার রাখবে


আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে ফুসফুস অন্যতম। এটি সাধারণত আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেই চালিত হয়। কাজেই ফুসফুস চারপাশের বায়ু থেকে নানা ক্ষতিকর উপাদান গ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের নানা সমস্যা বিশেষ করে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, সাইটিক ফিব্রোসিস প্রভৃতি হতে পারে। কাজেই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম, বায়ু দূষণ এড়ানো এবং ধূমপান না করা প্রভৃতি অনেক জরুরি। তবে এগুলোই যথেষ্ট নয়। সুস্থ থাকতে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতেই পারেন যা আপনার ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার রাখবে যেসব খাবারঃ
রসুন
রসুনে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি উচ্চ মাত্রার অ্যালিসিন রয়েছে। এগুলো প্রদাহের নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যাজমা সমস্যা সমাধানেও রসুন অনেক বেশি কার্যকরী। সেইসঙ্গে এটি ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
আদা
অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় আদাও ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত আদা-চা খেতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে লেবুও যোগ করতে পারেন। এগুলো শ্বাসনালীর বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
হলুদ
রসুন এবং আদার মতো হলুদেও অ্যান্টি-আনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
আপেল
আপেলে ফ্লাভোনয়েড নামে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যেটি শ্বাসনালীর সিস্টেমকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এই খাবারটি ফুসফুসের নানা সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করে।

·         বাসর রাত! প্রথমবার শারীরিক মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
·         জানেন কি দেহের ফাটা দাগ দূর হবে ভিক্স ব্যবহারে!
·         যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে খাদ্যতালিকায় ৫টি খাদ্য
·         মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতের বেলা সেরে ফেলুন ছোট্ট এই রূপচর্চা

আঙ্গুর
আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এবং ভিটামিন রয়েছে, যা ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে এই খাবারটি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত। এটি ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বেদানা
ফুসফুসের নানা ক্ষতি এড়াতে এই খাবারটির জুড়ি মেলা ভার। কাজেই ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত এই খাবারটি খান।

বাদাম এবং মটরশুঁটি
প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় অ্যাজমা রোগীদের এসব খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের দক্ষতা উন্নত করতেও সাহায্য করে।

পেস্তা বাদাম
ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পেস্তা বাদামের তুলনা নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই খাবারটি ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে পেস্তা বাদাম।

গোলমরিচ
শ্বাসনালীর যে কোন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে গোলমরিচ। কাজেই ফুসফুসকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত এই খাবারটি খান।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড বিশেষ করে ভিটামিন বি৬ এবং সি রয়েছে। এই ভিটামিনগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুধু তাই নয়, ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি।
উপরোক্ত খাবারগুলো ছাড়াও এমন কিছু খাবার যেমন ব্রোকলি, ফুলকপি, গাজর, টমেটো, কুমড়া ইত্যাদি রয়েছে, যা ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফুসফুস পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও সমান জরুরি। কাজেই ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে একটি সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে ফুসফুসের নানা জটিলতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

জেনে নিন ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কার্যকরী ১৬টি ভেষজ উপাদান।


ডায়াবেটিস শুধু উন্নত দেশগুলোতেই নয়,এটা ক্রমবর্ধমান ভাবে উন্নয়নশীল দেশ গুলোতেও মহামারী আকার ধারণ করছে। তবে গুরুত্বর ও দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার এই রোগটির জন্য জীবন যাপনের একটি ভালো মান বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম ছাড়াও বেশ কিছু ধরনের ভেষজ উপাদানের ব্যবহার ভালো সাহায্য করতে পারে। উপাদানগুলো আমাদের সবার বেশ পরিচিত এবং সহজলভ্য। তাই এই উপাদানগুলো সম্পর্কে ধারনা সবারই থাকা উচিত।
মেথিঃ এই বীজটিতে অনেক বেশি পরিমানে আঁশ থাকে যা হজমের সময় শর্করার ভাঙ্গনের গতিকে ধীর করে ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা স্থির থাকে।
করল্লাঃ এই সবজিতে থাকা বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং এটি ক্ষুধা উদ্দীপক হিসেবে কাজে করে বলে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভালো উপকারি।
জামরুলঃ এই ফলটিতে jamboline নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ আছে যা শর্করাকে চিনিতে রূপান্তরিত হতে বাধা দিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
বেল পাতাঃ এই পাতার ডায়াবেটিক বিরোধী গুনাগুন আছে। তাই বেল পাতার রস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
রশুনঃ এতে থাকা Allicin নামক যৌগ ডায়াবেটিকের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য প্রমাণিত।
অ্যালোভেরাঃ লিভারের ঔষধ হিসেবে কাজ করে অ্যালোভেরা। তাই এটা লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে রক্তের সুগারের শর্করার নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
বাধাকপিঃ Cruciferous গোত্রীয় অন্যান্য সবজির মতো বাধাকপিও রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়মিত করতে এবং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হলুদঃ আমলকীর সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা ডায়াবেটিস এর চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।
দারুচিনিঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমানিত যে দারুচিনি রক্তের শর্করার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে।
কারি পাতাঃ সকালে তাজা কারি পাতা খেলে তা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

যেসব খাবার ফুসফুস পরিষ্কার রাখবে
·         তুলসী পাতায় সারবে ৭ মারণরোগ, জেনে নিন ব্যবহার!
·         কমিশনের লোভে ডাক্তাররা রোগীদের অযথা পরীক্ষা নিরীক্ষা করান,
·         জেনেনিন বাচতে হলে কি করবেন
·         পাইলস বা অর্শ রোগের কারণ ও চিকিৎসা
·         জানেন কি ঔষধি গুণে ভরপুর দূর্বাঘাসের যত গুনাগুন!
·         জেনে নিন, ঘুমন্ত অবস্থাতেও যে ৭টি কাজ করতে থাকে আপনার মস্তিষ্ক
·         ছেলে বা মেয়ে সন্তান চাইলে যেটা করা প্রয়োজন
·         নিতম্বের ওজন কমানোর কয়েকটি উপায়...
·         ঠোঁট ফাটছে? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান
·         হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যা খাবেন

আমলকীঃ করলার সাথে আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে তা ইন্সুলিনের প্রাকৃতিক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

ইসবগুলঃ এটি ক্ষুদ্রান্তে চিনি শোষণে বাধা দিয়ে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।

শিমঃ এটি জটিল শর্করা এবং খাদ্য আঁশের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এছাড়া এটি ইন্সুলিনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।

মুলা এবং শসাঃ শসা ও মুলার শাকে আছে উচ্চ মাত্রার আঁশ এবং খুব কম পরিমান শর্করা, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।

পেঁয়াজঃ রশুনের মতো পেঁয়াজও Allium গোত্রীয়। এই গোত্রের সক্রিয় উপাদান allicin allyl propyl disulphide দুটিই হাইপোগ্লাইসেমিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। হাইপোগ্লাইসেমিক পদার্থ রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আদাঃ তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ যুক্ত এই মূলটিতে থাকা Gingerol নামক যৌগ দেহের পেশী কোষে গ্লুকোজ গ্রহণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে সামগ্রিক রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়।
ডায়াবেটিস একটি গুরুতর অবস্থা এবং দিন দিন এর ব্যাপক প্রকোপ সাধারণ জনগনের স্বাস্থ্যের উপর একটি বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এই রোগ মানুষকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারনে সৃষ্ট অন্ধত্বের ঝুঁকিতে নিয়ে যায় এবং এর ফলে যে পরিমান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে বাদ দিতে হয় তা অনেক সময় কোন দুর্ঘটনা বা ট্রমার কারনেও করতে হয় না।
দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং আরো গুরুত্বর ক্ষতি এড়ানোর জন্য দিনের পর দিন একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রার মাঝে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে একটি অন্যতম শর্ত। তাই উল্লেখিত ভেষজ উপাদান গুলো প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

লেখিকা-
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)

ল্যাপটপটির মডেল- HP Pavilion DV6 - 7023TX

হার্ডওয়্যারের কনফিগারেশনঃ
১) প্রসেসরঃ মাইক্রোপ্রসেসরের যুগে এই ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Turbo Boost Technology সমৃদ্ধ 3rd Generation এর Intel Core i7-3610QM প্রসেসর। যার স্পীড 2.3-3.3 GHz এবং ক্যাশিং ক্ষমতা 6 MB L3 Cache
এটি Intel এর তৈরী সর্বশেষ প্রসেসর তাই বুঝতেই পারছেন এর অসাধারণ ক্ষমতা।
২) মেমোরীঃ মেমোরী হিসেবে ল্যাপটপটিতে রয়েছে 4GB DDR3 র‍্যাম। রয়েছে সর্বমোট দুইটি র‍্যাম স্লোট তাই আপনার প্রয়োজনে 8GB পর্যন্ত আপগ্রেড করতে পারবেন।
৩) গ্রাফিক্সঃ জনপ্রিয় গ্রাফিক্স কার্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান nVidia এর GeForce GT 630M মডেল যেটিতে রয়েছে 2GB DDR3 Dedicated গ্রাফিক্স মেমোরী। অর্থাৎ হাই কনফিগারেশন গেমিং এবং গ্রাফিক্সের সকল বড় ধরণের কাজ করতে পারবেন এটি দিয়ে। এছাড়াও ল্যাপটপটির নিজস্ব Intel HD 4000 মডেলের গ্রাফিক্স রয়েছে।
৪) হার্ডড্রাইভঃ এটিতে রয়েছে Toshiba কোম্পানীর তৈরী 750GB স্পেস সমৃদ্ধ হার্ডড্রাইভ।যার স্পীড 5400 RPM
৫) মাল্টিমিডিয়া ড্রাইভঃ এটিতে রয়েছে SuperMulti DVD Burner ! যেটি দিয়ে আপনি DVD এবং CD রিড ও রাইট করতে পারবেন।
৬) ডিসপ্লেঃ মনিটরের জনপ্রিয় প্রযুক্তি LED সমৃদ্ধ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 15.6" (ইঞ্চি) Diagonal হাই ডিফিনেশন (HD) BrightView LED-backlit Display যার রেজুলেশন 1366 x 768
৭) নেটওয়ার্ক কার্ডঃ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা নেটওয়ার্কিং এর জন্য রয়েছে Integrated 10/100/1000 Gigabit Ethernet LAN (RJ-45 connector)
৮) ওয়ারলেস কানেক্টেভিটিঃ এটিতে রয়েছে 802.11b/g/n WiFi সুবিধা এবং ব্যাবহার করা হয়েছে ব্লুটুথের সর্বশেষ সংস্করণ Bluetooth 4.0 যার ফলে আপনি আপনার স্মার্টফোনকে মডেম হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও আগের চেয়ে অত্যান্ত দ্রুত গতিতে ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন।
এই ব্লুটুথ 4.0 থাকায় আমার দারুন সুবিধা হয়েছে। এই ব্লুটুথটিতে আবার Proximity সুবিধা আছে। এই সুবিধার জন্য আপনি আপনার ফোনকে ল্যাপটপের রিমোট লকিং ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থাৎ কম্পিউটারের সাথে আপনার ব্লুটুথ সমৃদ্ধ ফোনটি কানেক্ট করা আছে। এখন আপনি যদি আপনার ফোনটি পকেটে করে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান তাহলে আপনার কম্পিউটার অটোমেটিক লক হয়ে যাবে। ব্লুটুথগুলির ফ্রিকোয়েন্সীর সীমানা সাধারণত ১০ মিটার হয়। অর্থাৎ আপনি আপনার ফোনকে সঙ্গে করে ১০ মিটার দুরুত্বে চলে গেলেই কম্পিউটার আপনা থেকেই লক হয়ে যাবে যাতে কেউ আপনার কম্পিউটার ব্যবহার না করতে পারেন। এটি অবশ্যই একটি অপশনাল সুবিধা মানে আপনার পছন্দ না হলে বা প্রয়োজন নাহলে অফ করে রাখতে পারবেন।
৯) সাউন্ডঃ ল্যাপটপটিতে HP কোম্পানীর দারুন একটি অডিও সিস্টেম Beats Audio প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে। এতে রয়েছে মোট ৪টি ইন্টারনাল অডিও স্পীকার। সাথে Beats Audio প্লেব্যাক।
এমনিতেই ল্যাপটপ এর সাউন্ড দারুন। তারউপর আপনার যদি বড় স্পীকার বা সাউন্ডবক্সে গান শোনার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন এর সাউন্ড কোয়ালিটিতে। আমি অবশ্যি হেডসেট এ শুনি HP Beats Audio প্রযুক্তি সমন্ধে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
এছাড়াও এটিতে রয়েছে HP Triple Bass Reflex Subwoofer সাউন্ড সিস্টেম।
১০) পয়েন্টিং ডিভাইসঃ ল্যাপটপটির টাচপ্যাডটি দারুন লেগেছে আমার কাছে। অন্য ল্যাপটপে টাচপ্যাড ঝামেলা আর উল্টাপাল্টা কাজ করে মনেহত। তাই ব্যবহার করতাম না কিন্তু এটিতে দারুন লেগেছে। দুইটা আঙ্গুল দিয়ে টাচ করলে স্ক্রোল হবে (পোর্টরেইট এবং ল্যান্ডস্কেপ দুই রকমেরই স্ক্রোলিং হবে) এবং দুইটা আঙ্গুল দিয়ে আবার জুমও করতে পারবেন (আইফোনের নেট ব্রাউজারে দেখেছিলাম এরকম)। আর হ্যা আপনি যদি মাউস ব্যবহারে অভ্যস্ত হন তাহলে নিশ্চই টাচপ্যাড আপনার কাছে ঝামেলার মনে হবে তাই আপনি চাইলেই এই টাচপ্যাড সুইচ অফ করে রাখতে পারবেন। ফলে কিবোর্ডে টাইপ করার সময় টাচপ্যাড ঝামেলা করবে না।
১১) কিবোর্ডঃ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Full-sized island-style keyboard সাথে integrated numeric keypad ! ফলে যারা হিসেবি তাদের দারুন সুবিধা হবে।
১২) পিসি কার্ড স্লোডঃ ল্যাপটপটিতে রয়েছে বিল্ট ইন কার্ড রিয়েডার ! ফলে আপনার ফোনের কিংবা ক্যামেরার মেমোরীকার্ড কম্পিউটারের সাথে সংযোগের জন্য আলাদা কোন কার্ড রিয়েডারের প্রয়োজন নেই। সরাসরি এই ল্যাপটপে মোমোরীকার্ড রিড-রাইট করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মাইক্রো মোমোরী কার্ডগুলির জন্য চিপ ব্যবহার করতে হতে পারে।
১৩) এক্সট্রানাল পোর্টঃ
  • 3টি SuperSpeed USB 3.0
  • 1টি USB 2.0
  • 1টি HDMI
  • 1টি VGA
  • 1টি RJ45
  • 1টি Headphone-out
  • 1টি Microphone-in
১৪) সিকিউরিটিঃ ল্যাপটপটিতে আমার সবচেয়ে দারুন লেগেছে এর সিকিউরিটি সিস্টেমগুলি। দামী ল্যাপটপ হওয়ায় স্বাভাভিকভাবেই ভয় থাকে চুরি হওয়া, হারিয়ে যাওয়া এবং সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে নিজের ব্যাক্তিগত তথ্যের। নিজের ল্যাপটপে ব্যাংক, ক্রেডিটকার্ড এবং আপনার ও আপনার ক্লায়েন্টদের সাইটের এ্যাডমিন এক্সেস এর গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড প্রায় সবারই আছে। ল্যাপটপ চুরি হলে যে ক্ষতিটা হবে তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে যদি চোররা আপনার পাসওয়ার্ডগুলি জেনে যায়।
আর তাই এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে দারুন কয়েকটি সিকিউরিটি সিস্টেম
ক) HP SimplePass Fingerprint Reader ঃ ল্যাপটপটিতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার। হ্যা ! আপনি ঠিকই ভাবছেন ! আপনার আঙ্গুলের ছোয়া ছাড়া ল্যাপটপ কেউ আনলক করতে পারবে না। ফলে বন্ধুদের কিংবা বাসার বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে একদম টেনশন করার দরকার নেই।
খ) Power-on password ঃ চুরি হওয়া কোন ল্যাপটপ বা আপনি বাইরে গেলে আপনার বন্ধুরা সহজেই নতুন OS সেটাপ দিয়ে আপনার ল্যাপটপ ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে কিন্তু এই ল্যাপটপটিতে Power-on password সুবিধা থাকায় আপনি BIOS থেকে আপনার কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন। ফলে কেউ কম্পিউটার চালু করলে প্রথমেই তারকাছে Power-on password চাওয়া হবে। ফলে কম্পিউটার চালু করাতো দূরের কথা, নতুন OS (Operating System) সেটাপই দিতে পারবেন না।
গ) Kensington MicroSaver lock slot : এটিও দারুন একটি সিকিউরিটি সুবিধা। আপনি Kensington এর MicroSaver Lock বাজার থেকে কিনে নিয়ে ল্যাপটপ আপনার টেবিল কিংবা শক্ত কিছুর সাথে তালাবদ্ধ করতে রাখতে পারবেন। এর জন্যই রয়েছে এই স্লোটটি। এভাবে তালা দিয়ে রাখলে চোর হাতের কাছে ল্যাপটপ পেয়েও হাতিয়ে নিতে পারবে না সহজেই। আহ ! আমারতো ভাবতেই চোরের জন্য আফসুস হচ্ছে !
ঘ) এছাড়াও ল্যাপটপটি 3rd party security lock ডিভাইসগুলি সাপোর্ট করবে।
১৫) ওয়েবক্যামঃ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে HP TrueVision HD Webcam এবং ওয়েবক্যামরাটি লো-লাইট এ অটোমেটিক এ্যাডযাস্ট হয়ে যায়। ফলে এখন হাই ডিফিনেশন ভিডিও চ্যাটিং কোন ব্যাপারই নয়।
১৬) বোনাস সুবিধাঃ ল্যাপটপটিতে বিল্ট-ইন ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে HP Coolsense প্রযুক্তি। অর্থাৎ ল্যাপটপ তার তাপমাত্রা বজায় রাখতে মারাত্বকভাবে পারদর্শী। আমার কাছে এটির সবচেয়ে যে ব্যাপারটি ভাল লেগেছে সেটি হল ল্যাপটপ যদি আপনি বাইরে বসে আপনার পায়ের উপর ব্যবহার করেন তাহলে ল্যাপটপের এই কুলিং সিস্টেম দারুনভাবে আপনাকে কমফোর্ট রাখবে !
১৭) ব্যাটারীঃ এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 6-cell Lithium-Ion (Li-Ion) এবং সাথে আছে 120W slim AC Power Adapter চার্জার। ল্যাপটপটির চার্জ বেশ ভালই থাকে। আমি ৪ থেকে ৪.৩০ ঘন্টার মত ব্যকআপ পেয়েছি। এখন অবশ্যি দাম বেশি হলেও বিদ্যুৎ বেশ ভালই থাকে তাই ব্যাকআপ নিয়ে কোন আপত্তি নেই।
সফটওয়্যারঃ
HP থেকে দেয়া অনেকগুলি দারুন সফটওয়্যার এর সাথে থাকার পাশাপাশি আপনি পাবেন Windows 7 Home Premium এর লাইসেন্সড ভার্সন ! ল্যাপটপটির পিছনে সিরিয়াল-কী সহ জিনুইন উইনডোজ এর সীল দেয়া আছে। তাই আপনার জিনুইন উইনডোজ থাকায় অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আর ভাবতে হবে না। অন্য কিছু পাইরেটেড ব্যবহার করলেও এখন থেকে বলতে পারবেন আমি কিনে উইনডোজ ব্যবহার করি।
ল্যাপটপটির খারাপ দিকঃ
আমি মনে করি একটি ভাল রিভিউ ফুটিয়ে তুলতে হলে খারাপ দিকটাও আলোচনা করা উচিত ! তবে নিচে যে খারাপ দিকগুলো লিখব সেগুলি নিয়ে একদম হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। আমি যে খারাপ দিকগুলি লিখব সেগুলি খারাপ নয় বরং নিচের সুবিধাগুলি থাকলে আরও দারুন হত ল্যাপটপটি।
১) হার্ডড্রাইভঃ এটির হার্ডড্রাইভ ৭৫০ জিবি কিন্তু তাতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হল হার্ডড্রাইভটির স্পীড সাধারণ ল্যাপটপ বা কম্পিউটারগুলির হার্ডড্রাইভ এর মত। অর্থাৎ 5400 rpm স্পীডটি যদি 7200 rpm হত তাহলে আরো দারুন হত।
২) মোমোরীঃ এটির র‍্যাম মাত্র 4GB দেয়া হয়েছে। যদি 8GB দেয়া হত তাহলে মারাত্বক ভাবে দারুন হত।
৩) মাল্টিমিডিয়া ড্রাইভঃ এটিতে CD DVD রিড রাইট করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে SuperMulti DVD Burner এটিতে যদি ব্লুরে এর সাপোর্ট থাকত তাহলে আরো দারুন হত।
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা
ল্যাপটপ নিয়ে এতক্ষণ যে রিভিউটি দিলাম তাতে আমি নিশ্চিত আপনার বড়ই আফসোস হচ্ছে এরকম একটি ল্যাপটপ নেয়ার। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমি নিশ্চিত আপনিও একদিন এরকম একটি ল্যাপটপ বা এরথেকেও বেশি কনফিগারেশন সমৃদ্ধ ল্যাপটপের গর্বিত মালিক হবেন। ইনশাআল্লাহ!

টিপস

কপিরাইট-২০১৭ © মুহাম্মদ আলম
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
মোবাইল নং:- ০১৮১৩-......