Home /
Archive for September 2016
জেনে নিন কোন কোন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা উচিত না, করলে ক্ষতি কী!
১. মহিলাদের মাসিক বা ঋতুস্রাব অবস্থায় কখনোই স্ত্রী সহবাস করা উচিত না।
২. নিফাস ( অর্থাৎ মহিলাদের বাচ্চা প্রসবের পর চল্লিশ দিন বা এর কমে যে কয়দিনে রক্ত আসা
পরিপূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়) অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা উচিত না। এ দুসময়ের
মধ্যে সহবাস করলে উভয়েরই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা এ
সময়ের রক্তের প্রচুর পরিমাণ বিষাক্ত জীবানু থাকে। যার দ্বারা ভয়ানক রোগ
হওয়ার সম্ভাবনা প্রমাণিত। অনেক পুরুষকে দেখা যায় যে , এ স্ময় সহবাস করার
কারণে লজ্জাস্থানে এলার্জী জাতীয় বিভিন্ন রোগ হয়। লজ্জাস্থানে জ্বালাপোড়া
শ্র“ হয়ে যায়, আবার কারো ধাতু দুর্বলতা দেখা দেয়। এ সময়ের সহবাস দ্বারা
সন্তান জন্ম নিলে অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের শরীরে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
শরীরে বিভিন্ন ধরণের ঘা হয়, যা থেকে অনবরত পানি ঝরতেই থাকে এবং বাচ্চাদানী
বাহিরে বের হয়ে আসে । আবার অনেক সময় মহিলাদের ভ্রুণ নষ্টের রোগ হয়ে থাকে।এ
ছাড়াও এ সময়ের সহবাসে নারী পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরণের রোগ ব্যাধিতে
আক্রান্ত হ। কেননা ঋতুস্রাব ও নেফাসের রক্তে শরীরের ভিতরের রোগ জীবাণুযুক্ত
অপবিত্র উপকরণ থাকে। সে সাথে বিষাক্ত জীবাণুও থাকে। রক্তস্রাবের সময়
মহিলাদের সর্বক্ষণ রক্ত নির্গত হওয়ার কারণে কারো কারো যৌনাঙ্গটি এক প্রকার
ফোলা ও উষ্ণ থাকে। ঋতুস্রাব বা নেফাস থেকে পবিত্র হয়ে গোসল করার আগ পর্যন্ত
মহিলাদের সাথে সহবাস করবেনা।
৩. কাজের ব্যস্ততা বেশি থাকলে সে সময় সহবাস করা উচিত না।
৪. চিন্তা-ভাবনা, পেরেশানী ও বিচলিত হালতে সহবাস করা উচিত না।
৫. দুর্বল ও ক্লান্ত অবস্থায় সহবাস না করা উচিত।
৬. মাতাল অবস্থায় সহবাস না করা।
৭. পেশাব পায়খানার চাপ থাকলে সহবাস না করা।
৮. একেবারে খালি পেটে অথবা ভরপেটেও সহবাস না করা । এ অবস্থায় সহবাসে
পেটের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে । এমনকি পাকস্থলী কলিজার
উপর চলে আসারও সম্ভাবনা থাকে।বিজ্ঞদের মতে ভরপেটে সহবাস করলে শগর ( অর্থাৎ
পেশাবের সাথে পূজ পড়া এবং শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যাওয়া) রোগ হয়ে থাকে আবার
একেবারে খালি পেটে সহবাস করা শরীরের জন্য আরো ক্ষতিকর। কেননা বীর্যপাতের পর
অণ্ডকোষ নিজের খাদ্য চর্বি থেকে তলব করে থাকে। আর চর্বি নিজের খাবার তলব
করে কলিজা থেকে। কলিজা তার খাবার তলব করে পাকস্থলী থেকে। ক্ষুধার্ত অবস্থায়
পেট থাকে একেবারে খাবার শূন্য । যার কারণে টিবি, ভীতিপ্রদ রোগ, চোখের
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। অসুস্থতা থেকে মুক্তির পর
শারীরিক দুর্বলতা এখনো অবশিষ্ট আছে এ অবস্থায় সহবাস না করা। মৃগী রোগ, টিবি
রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি সহবাস থেকে দূরে থাকবে। মস্তিষ্ক ক্ষয় হয় এমন
কাজের পর সহবাস না করা। যাদের চোখের দৃষ্টির রোগ , শারীরিক দুর্বলতা ও
কলিজা, পাকস্থলী দুর্বল তাদের তাদের জন্যও সহবাস করা ক্ষতিকর। তদ্রুপভাবে
অর্শ্ব ও যৌনরোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাকবে।
৯. যাদের গনোরিয়া রোগ আছে তারাও যথাসম্ভব সহবাস থেকে দূরে থাকবে।
১০. অসুস্থ অবস্থায় ও জীবানুযুক্ত বাতাস গ্রহণের সময় সহবাস না করা উচিত।
জ্ঞানী ব্যাক্তিদের ধারণা মতে চাঁদের এগারো তারিখে সহবাস করা নিজের বয়স
কমিয়ে ফেলারই নামান্তর। প্রাপ্ত বয়সের পূর্বে ভ্রুণ তৈরি হলে সে সন্তান
অসুস্থ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। বৈজ্ঞানিকদের মত রাতের প্রথমাংশে সহবাসের
দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে সে সন্তান অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে। আর
রাতের শেষ প্রহরে সহবাস করার দ্বারা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সন্তান সুস্থ
সবল ও ধর্মভীরু হয়ে থাকে।
Collected.
পাহাড়ের গুহায় আঁটকে পড়া তিন যুবক
 |
পাহাড়ের গুহা
|
রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে-
একবার তিনজন লোক পথ চলছিল, এমন সময় তারা
বৃষ্টিতে আক্রান্ত হ’ল। অতঃপর তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড়
হ’তে এক খন্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে
বলল, নিজেদের কৃত কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের কর, যা আললাহর
সন্তুষ্টির জন্য তোমরা করেছ এবং তার মাধ্যমে আললাহর নিকট দো‘আ কর। তাহ’লে
হয়ত আল্লাহ্ তোমাদের উপর হ’তে পাথরটি সরিয়ে দিবেন।
তাদের একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ্! আমার
আববা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন এবং আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিল। আমি তাদের
ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধ্যায় যখন আমি বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ
দোহন করতাম এবং আমার সন্তান্দের আগে আমার আববা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন
আমার ফিরতে দেরী হয় এবং সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা
ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি দুধ দোহন করলাম, যেমন প্রতিদিন দোহন করি। তারপর আমি
তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদেরকে জাগানো আমি পছন্দ করিনি
এবং তাদের আগে আমার বাচ্চাদেরকে পান করানোও সঙ্গত মনে করিনি। অথচ
বাচ্চাগুলো দুধের জন্য আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। এভাবে ভোর
হয়ে গেল। হে আল্লাহ্! আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ
কাজটি করে থাকি তবে আপনি আমাদের হ’তে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা
আসমানটা দেখতে পাই। তখন আল্লাহ পাথরটাকে একটু সরিয়ে দিলেন এবং তারা আসমান
দেখতে পেল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমার
এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষরা যেমন মহিলাদেরকে ভালবাসে,আমি তাকে তার চেয়েও
অধিক ভালবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে চেয়ে বসলাম (অর্থাৎ খারাপ কাজ করতে
চাইলাম)। কিন্তু তা সে অস্বীকার করল যে পর্যন্ত না আমি তার জন্য একশ’ দিনার
নিয়ে আসি। পরে চেষ্টা করে আমি তা যোগাড় করলাম (এবং তার কাছে এলাম)। যখন
আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম (অর্থাৎ সম্ভোগ করতে তৈরী হলাম) তখন সে বলল,
হে আললাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে মোহর (পর্দা) ছিঁড়ে দিয়ো
না। (অর্থাৎ আমার সতীত্ব নষ্ট করো না)। তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ!
আপনি জানেন আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে আপনি
আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন। তখন পাথরটা কিছুটা সরে গেল।
তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্! আমি এক
‘ফারাক’ চাউলের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিযুক্ত করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ
করল আমাকে বলল, আমার পাওনা দিয়ে দাও। আমি তাকে তার পাওনা দিতে গেলে সে তা
নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম এবং এর দ্বারা অনেক গরু ও তার
রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছু দিন পর সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয়
কর (আমার মজুরী দাও)। আমি বললাম, এই সব গরু ও রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল,
আল্লাহকে ভয় কর, আমার সাথে ঠাট্টা কর না। আমি বললাম, আমি তোমার সাথে ঠাট্টা
করছি না, ঐগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, যদি
আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তবে পাথরের বাকীটুকু
সরিয়ে দিন। তখন আল্লাহ পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন।
(আব্দুললাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, বুখারী হা/২৩৩৩, ‘চাষাবাদ’ অধ্যায়, অনুচেছদ-১৩; মুসলিম হা/২৭৪৩, মিশকাত হা/৪৯৩৮)।
শিক্ষা :
১. বান্দা সুখে-দুঃখে সর্বদা আল্লাহকে ডাকবে।
২. বিপদাপদের সময় আল্লাহকে ব্যতীত কোন মৃত ব্যক্তি বা অন্য কাউকে ডাকা শিরকে আকবর বা বড় শিরক।
৩. সৎ আমলকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।
৪. পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে এবং স্ত্রী ও সন্তানদের উপর তাদেরকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৫. শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা প্রদান করতে হবে।
Mohammad Alam
Chittagong College, Chittagong.
Cell- 01813-996330
রোমক ও পারসিকদের যুদ্ধের কাহিনী
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর মক্কায় অবস্থানকালে পারসিকরা রোমকদের
উপর আক্রমণ করে। তাদের এই যুদ্ধ শামদেশের আযরুআত ও বুসরার মধ্যস্থলে সংঘটিত
হয়। এই যুদ্ধ চলাকালে মক্কার মুশরিকরা পারসিকদের বিজয় কামনা করত। কেননা
শিরক ও প্রতিমা পূজায় তারা ছিল পারসিকদের সহযোগী। অপরপক্ষে মুসলমানদের
আন্তরিক বাসনা ছিল রোমকরা বিজয়ী হোক। কেননা ধর্ম ও মাযহাবের দিক দিয়ে তারা
ইসলামের নিকটবর্তী ছিল। কিন্তু হলো এই যে, তখনকার মতো পারসিকরা যুদ্ধে বিজয়
লাভ করে। এমন কি তারা কনস্টান্টিনোপলও অধিকার করে নিল এবং সেখানে উপাসনার
জন্য একটি অগ্নিকুন্ড নির্মাণ করল। এটা ছিল পারস্য স¤্রাট পারভেজের সর্বশেষ
বিজয়। এরপর তার পতন শুরু হয় মুসলমানদের হাতে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মক্কার মুশরিকরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল এবং মুসলমানদেরকে লজ্জা
দিতে লাগল যে, তোমরা যাদের সমর্থন করতে তারা হেরে গেছে। ব্যাপার এখানেই শেষ
নয়; বরং আহলে কিতাব রোমকরা যেমন পারসিকদের মোকাবিলায় পরাজয় বরণ করেছে,
তেমনি আমাদের মোকাবেলায় তোমরাও একদিন পরাজিত হবে। এতে মুসলমানরা
আন্তরিকভাবে দুঃখিত হয়।
‘সূরা রূমের’ প্রাথমিক আয়াতগুলো এ ঘটনা সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে। এসব আয়াতে
ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, কয়েক বছর পরেই রোমকরা পারসিকদের মোকাবিলায়
বিজয়ী হবে। ইরশাদ হল-
অর্থ- আলিফ-লাম-মীম, রোমকরা পরাজিত হয়েছে, নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের
পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে, কয়েক বছরের মধ্যে। [সূরা-রূম, আয়াত- ১-৪]
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) যখন এসব আয়াত শুনলেন, তখন মক্কার চতুষ্পার্শ্বে
এবং মুশরিকদের সমাবেশ ও বাজারে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করলেন, তোমাদের
হর্ষোৎফুল্ল হওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েক বছরের মধ্যে রোমকরা পারসিকদের
বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে। মুশরিকদের মধ্যে উবাই ইবনে খালফ কথা ধরল এবং বলল,
তুমি মিথ্যা বলছ। এরূপ হতে পারে না। হযরত আবু বকর (রা) বললেন, আল্লাহর
দুশমন তুই মিথ্যাবাদী। আমি এই ঘটনার জন্য বাজি রাখতে প্রস্তুত আছি। যদি তিন
বছরের মধ্যে রোমকরা বিজয়ী না হয় তবে আমি তোমাকে দশটি উষ্ট্রী দেব। উবাই
এতে সম্মত হল। [বলা বাহুল্য, এটা ছিল জুয়া কিন্তুু তখন জুয়া হারাম ছিল না]
একথা বলে হযরত আবু বকর (রা.) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর কাছে উপস্থিত হয়ে ঘটনা বিবৃত করেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন আমি তো তিন বছরের সময় নির্দিষ্ট করিনি। কাজেই তিন থেকে নয়
বছরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তুমি যাও এবং উবাইকে বল যে, আমি দশটি উষ্টীর
স্থলে একশ উষ্ট্রীর বাজি রাখছি, কিন্তু সময়কাল তিন বছরের পরিবর্তে নয় বছর
এবং কোনো কোনো রেওয়ায়েত মতে সাত বছর নির্দিষ্ট করছি। হযরত আবু বকর (রা.)
আদেশ পালন করলেন এবং উবাইও নতুন চুক্তিতে সম্মত হলো। বিভিন্ন হাদীস থেকে
জানাযায় যে, হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে এই ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সাত বছর পূর্ণ
হওয়ার পর বদর যুদ্ধের সময় রোমকরা পাসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। তখন উবাই
ইবনে খালফ বেঁচে ছিল না। হযরত আবু বকর তার উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে একশ’
উষ্ট্রী দাবী করে আদায় করে নিলেন। হযরত আবু বকর (রা.) বাজিতে জিতে গেলেন
এবং একশ’ উষ্ট্রী লাভ করলেন। তখন সেগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ এর কাছে উপস্থিত
হলেন। তিনি বললেন, উষ্ট্রীগুলো সদকা করে দাও।
মায়ারিফ- ১০৩৭।
আরো বিস্তারিত জানতে -
Click here
সংকলনেঃ মুহাম্মদ আলম
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম।
০১৮১৩-৯৯৬৩৩০
আপনারা কি জানেন, আমাদের এ ভারতবর্ষ থেকেও রাসূলুল্লাহ (স) এর একজন সাহাবী ছিলেন?
আপনারা
কি জানেন, আমাদের এ ভারতবর্ষ থেকেও রাসূলুল্লাহ (স) এর একজন সাহাবী ছিলেন?
উনার নাম তাজউদ্দিন (রা)। উনার ইসলাম গ্রহণের গল্পটাও খুব চমকপ্রদ। আজ সে
কাহিনীই লিখব।
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের চেরা রাজবংশের শাসকদের রাজ উপাধি হচ্ছে
চেরামান পেরুমল।এই রাজবংশেরই শেষ রাজা পরিবর্তীতে হয়েছিলেন একজন সাহাবী।
তখনকার সময়ে জোছনাযাপন বা বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখার মত বিলাসিতা সাধারণ মানুষ করত না।
রাত নামার পর খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়াই ছিল প্রধান কাজ। তাই তখন রাসূলুল্লাহ
(স) দ্বারা যে রাতে অল্প সময়ের জন্যে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল, তা খুব বেশী
মানুষের দেখার সৌভাগ্য হয় নি বলেই ধারনা করা যায়। কিন্তু হেদায়েত ভাগ্যে
থাকলে ঠেকায় কে?
কেরালা রাজ্যের তৎকালীন রাজা তাজউদ্দিন (রা) এক পূর্ণিমার রাতে অবাক হয়ে
লক্ষ্য করলেন যে, চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল। তিনি এ ব্যপারে খোজখবর নেয়া
শুরু করলেন।পরবর্তীতে কেরালায় আগত আরব বণিকদের কাছ থেকে নাবী
মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার
মুযিযার কথা জানতে পেরে তিনি মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)-কে দেখতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন।পরবর্তীতে রাজ্য ভাগ করে দিয়ে মক্কায়
চলে যান এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর সাক্ষাত লাভ করেন এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত
হন।রাসূলুল্লাহ (স) তার নাম রাখেন তাজউদ্দিন।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) এর বর্ণনায়,চেরামান পেরুমল এক বয়াম রসুনেন আচার উপহার
দেন।এরপর তিনি ইসলামে দীক্ষিত হন।নাবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্রাম) তার নাম রাখেন তাজুদ্দিন।
সতের(১৭) দিন তিনি নাবীজির সাথে ছিলেন।পরবর্তীতে মালিক বিন দিনার (রাঃ) কে
সাথে নিয়ে মাতৃভূমিতে ফেরার পথে ওমানে ইন্তেকাল করেন।সেখানেই তাঁকে সমাহিত
করা হয়।তিনি মালিক বিন দিনার(রাঃ)এর বোনকে (রাজিয়া-রাঃ) বিয়ে
করেন।পরবর্তীতে মালিক বিন দিনার(রাঃ) ও রাজিয়া(রাঃ) কেরালায় চলে আসেন এবং
আমৃত্যু ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।
তথ্যসূত্রঃ
আল তাবারি রচিত নাবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনি।
সংকলনেঃ মুহাম্মদ আলম
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম।
০১৮১৩-৯৯৬৩৩০