আপনারা
কি জানেন, আমাদের এ ভারতবর্ষ থেকেও রাসূলুল্লাহ (স) এর একজন সাহাবী ছিলেন?
উনার নাম তাজউদ্দিন (রা)। উনার ইসলাম গ্রহণের গল্পটাও খুব চমকপ্রদ। আজ সে
কাহিনীই লিখব।
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের চেরা রাজবংশের শাসকদের রাজ উপাধি হচ্ছে চেরামান পেরুমল।এই রাজবংশেরই শেষ রাজা পরিবর্তীতে হয়েছিলেন একজন সাহাবী।
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের চেরা রাজবংশের শাসকদের রাজ উপাধি হচ্ছে চেরামান পেরুমল।এই রাজবংশেরই শেষ রাজা পরিবর্তীতে হয়েছিলেন একজন সাহাবী।
তখনকার সময়ে জোছনাযাপন বা বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখার মত বিলাসিতা সাধারণ মানুষ করত না। রাত নামার পর খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়াই ছিল প্রধান কাজ। তাই তখন রাসূলুল্লাহ (স) দ্বারা যে রাতে অল্প সময়ের জন্যে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল, তা খুব বেশী মানুষের দেখার সৌভাগ্য হয় নি বলেই ধারনা করা যায়। কিন্তু হেদায়েত ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে?
কেরালা রাজ্যের তৎকালীন রাজা তাজউদ্দিন (রা) এক পূর্ণিমার রাতে অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন যে, চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল। তিনি এ ব্যপারে খোজখবর নেয়া শুরু করলেন।পরবর্তীতে কেরালায় আগত আরব বণিকদের কাছ থেকে নাবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার মুযিযার কথা জানতে পেরে তিনি মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন।পরবর্তীতে রাজ্য ভাগ করে দিয়ে মক্কায় চলে যান এবং রাসূলুল্লাহ (স) এর সাক্ষাত লাভ করেন এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।রাসূলুল্লাহ (স) তার নাম রাখেন তাজউদ্দিন।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) এর বর্ণনায়,চেরামান পেরুমল এক বয়াম রসুনেন আচার উপহার দেন।এরপর তিনি ইসলামে দীক্ষিত হন।নাবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্রাম) তার নাম রাখেন তাজুদ্দিন।
সতের(১৭) দিন তিনি নাবীজির সাথে ছিলেন।পরবর্তীতে মালিক বিন দিনার (রাঃ) কে সাথে নিয়ে মাতৃভূমিতে ফেরার পথে ওমানে ইন্তেকাল করেন।সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।তিনি মালিক বিন দিনার(রাঃ)এর বোনকে (রাজিয়া-রাঃ) বিয়ে করেন।পরবর্তীতে মালিক বিন দিনার(রাঃ) ও রাজিয়া(রাঃ) কেরালায় চলে আসেন এবং আমৃত্যু ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।
তথ্যসূত্রঃ
আল তাবারি রচিত নাবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনি।
সংকলনেঃ মুহাম্মদ আলম
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম।
০১৮১৩-৯৯৬৩৩০
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete