আমরা যখন পরিপূর্ণ এবং কামেল মানবকে অর্থাত ইমাম মাহদীকে (আ.) সঠিকভাবে চিনতে পারব তখনই আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সকল সমস্যার সমাধান হবে। আর ইমাম মাহদীকে চেনার বিভিন্ন পথ ও পর্যায় রয়েছে। তার মদ্যে একটি হচ্ছে অজ্ঞতা, কুসংস্কার থেকে মুক্তি এবং গোনাহ ও সকল প্রকার অন্যায় থেকে দূরে থাকা।
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: আল্লাহ, রাসূল(সা.) এবং ইমামকে চেনার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি দোয়াতে বর্ণিত হয়েছে,
হে আল্লাহ! আপনি নিজেই আমাকে আপনার পরিচয় জানার তৌফিক দান করুন, কেননা আপনাকে না চিনলে আমি আপনার রাসূলকে চিনতে পারব না। আর আপনার রাসূলকে না চিনতে পারলে আপনার হুজ্জাত তথা ইমামদেরকে চিনতে পারব না এবং আপনার হুজ্জাত তথা ইমাম মাহদীকে না চিনতে পারলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাব।
এই দোয়ার শিক্ষা হল আমাদের অন্তর সর্বদা ইমাম মাদহীর(আ.) ভালবাসায় পরিপূর্ণ। কিন্তু আমরা আপনার উপর আশা নিয়ে বসে আছি যখনই আপনি তাকে প্রেরণ করবেন তখই আমরা তার সাহায্যের জন্য ঝাপিয়ে পড়ব।
এই দোয়াতে ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতিক্ষাকারীদের আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, হে আল্লাহ আমরা ইামম মাহদীকে অধিক ভালবাসী। এবং অধীর আগ্রহে তার আবির্ভাবের অপেক্ষায় আছি।
আমরা প্রতিদিন নাামজের ১০ বার বলি হে আল্লাহ আমাদেরকে সরল ও সঠিক পথে হেদায়াত করুন। আর সঠিক পথই হচ্ছে রাসূলের(সা.) আহলে বাইতের পথ।
অনুরূপভাবে পবিত্র কোরআন বলছে: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِين
হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (সর্বদা) সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।
ইমাম জাওয়াদ(আ.) বলেছেন, রোজা, সদকা এবং তাহাজ্জুদের নামাজের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের সল্যাণলাভ করে। তাহাজ্জুদের নামাজ মানুষকে মর্যাদা দান করে।
পবিত্র ইমামগন(আ.) থেকে বর্নিত হয়েছে যে, ইমাম মাহদী(আ.) হচ্ছেন দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের খনি যারা ইমাম মাহদীকে সঠিকভাবে চিনতে পারবে তারা দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যান প্রাপ্ত হবে।
0 comments:
Post a Comment