আমাদের মাঝে অনেকেই মনে করে বেশি র্যাম মানেই ভালো ল্যাপটপ। এটা পুরোপুরি ভুল ধারণা। আবার প্রসেসর স্পিড বেশি হলেই ভালো ল্যাপটপ হয় না। এমনকি ১ টেরাবাইট বা ২, ৩ যা ই হোক না কেন সেটা অনেক সময় ২৫৬ জিবি স্টোরেজের চেয়ে অনেক কম কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়। তাই আমি আপনাদের ৩ টি পরামর্শ দিব যা আপনাকে নতুন ল্যাপটপ কিনতে সহায়তা করবে।
১। নতুন ল্যাপটপ এর প্রসেসর কেমন হওয়া উচিত?
আমি অবশ্যই বলবো নতুন প্রজন্মের প্রসেসরটি বেছে নিবেন। কিন্তু হ্যা তার ক্লক স্পিড যেন 2 GHz বা তার বেশি হয়। আপনি পঞ্চম প্রজন্মের কোর আই ফাইভ প্রসেসরের নতুন ল্যাপটপ কিনলেন। কিন্তু টা 1.5 GHz। এটা আপনার জন্য ভালো হবে না। অবশ্যই খবর নিয়ে দেখবেন সর্বশেষ কোন প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে আসছে এবং সেটাই বেছে নিবেন। বর্তমানে প্রায় সব ল্যাপটপেই 4 GB র্যাম থাকে। আপনি যদি চান আপনার ল্যাপটপে 8 GB র্যাম থাকবে, সেটা খুবই ভালো বিষয়। কিন্তু সবার আগে সিপিউ ক্লক স্পিড। আপনার 4 GB র্যাম এ না হলে, আরও 4 GB র্যাম লাগিয়ে নিন। র্যাম এর মুল্য কম। কিন্তু প্রসেসরের মুল্য অনেক বেশি।২। অবশ্যই এসএসডি (SSD – Solid State Drive) যুক্ত ল্যাপটপ বাছাই করুনঃ
আগেই বলে নেই আগামি দু এক বছর পরে ট্র্যাডিশনাল সাটা হার্ডডিস্ক প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সবাই তখন এসএসডি ব্যাবহার করবে। ধরেন আপনার নতুন ল্যাপটপ কেনার বাজেট ৫০ হাজার টাকা। এই টাকায় আপনি ৭০০ জিবি অথবা ১ টিবি সাইজের হার্ডডিস্ক যুক্ত ল্যাপটপ পেয়েছেন। কিন্তু এত ধারণ ক্ষমতার এসএসডি পাবেন না। হয়তোবা ২৫৬ জিবির এসএসডি যুক্ত ল্যাপটপ পেতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন যে লোকটি এসএসডি যুক্ত ল্যাপটপ কিনবে সেই কিন্তু জিতবে। কারণ সংক্ষেপে বলি। বর্তমানে যত মডার্ন অপারেটিং সিস্টেম বের হচ্ছে যেমন উইন্ডোজ ১০ সবই এসএসডিতে খুবই ভালো পারফর্ম করে। কিন্তু সাটা হার্ডডিস্ক এ আপনি নতুন অপারেটিং সিস্টেম ভালো ভাবে চালাতে পারবেন না। আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রবলেমের সম্মুক্ষিন হবে। উইন্ডোজের ব্লু স্ক্রিন সমস্যার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সাটা হার্ডডিস্ক ই দাই। এছাড়া এসএসডি ড্রাইভের ডেটা ট্রান্সফার স্পিড সাটার চেয়ে বহু গুন বেশি। আপনার যদি বেশি স্টোরেজ দরকার হয়, এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন।৩। ল্যাপটপটি আপনার জন্য পারফেক্ট কিনা দেখে নিনঃ
আপনি ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ল্যাপটপ কিনলেন। কিন্তু আপনি তাতে ঠিক মতো কাজই করতে পারলেন না। তাহলে কেমন হবে। তাই দেখে নিন আপনার নতুন ল্যাপটপটি আপনার জন্য কতটুকু আরামদায়ক। আর হ্যা অবশ্যই দেখে নিন তাতে ব্যাকলিট কিবোর্ড আছে কিনা। ব্যাকলিট কিবোর্ড এর সুবিধা হচ্ছে আপনি অনায়াসে অন্ধকারেও আপনার ল্যাপটপ এ টাইপ করতে পারবেন।এতক্ষণ যা বললাম তা হয়ত আপনাদের কারো কারো কাজে আসতে পারে। সবশেষে বলব পছন্দটা আপনারই। আপনার নতুন ল্যাপটপটি হবে আপনার পছন্দ ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ।
0 comments:
Post a Comment